সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়া মুরগির নাম | কতদিন পরে মুরগি ডিম দেয় জানুন এখানে

সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়ার মুরগির নাম ও কতদিন পরে মুরগি ডিম দেয় তা জানুন এখানে। কোন মুরগি কত দিনের দিন খারাপ শুরু করে এবং কোন জাতের মুরগি বেশি ডিম পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না আজকের এই পোস্টটিতে।

বর্তমানে এমন অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা মুরগি বিক্রি করার জন্য বলে থাকে এই মুরগি বেশি ডিম পারে। তাই এসব মুরগী আপনি কিভাবে চিনবেন সে সম্পর্কে জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত করতে থাকুন।

• সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়া মুরগির নাম
• কতদিন পরে মুরগি ডিম দেয়
• মুরগির ডিম পাড়া বাড়ানোর উপায়
• দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
• দেশি মুরগি আর বিদেশি মুরগির মধ্যে পার্থক্য
• মুরগিকে সুস্থ রাখার সঠিক উপায়
• পরিশেষে আমার মন্তব্যঃ সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়া মুরগির নাম

সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়া মুরগির নাম বর্তমানে এখন প্রায় অধিকাংশই মানুষ বাসায় মুরগির খামার করে অথবা বাসায় মুরগি পালন করে থাকে। কেউ মুরগি নিজস্ব বাসায় খাওয়ার জন্য পালন করে আবার কেউ বিক্রি করে আয় করার জন্য পালন করে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আবার ভেবে থাকে যে ডিম বিক্রি করে ইনকাম করতে চাই। এজন্য আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো কোন মুরগিতে সবচেয়ে বেশি ডিম পারে।

কিছু কিছু দেশি-বিদেশি মুরগির জাত আছে, যেগুলো বেশি কিংবা কম বছরে ডিম দিয়ে থাকে। তবে অনেকেই মুরগি পালন করে ডিম বিক্রি করার কিংবা খাওয়ার জন্য চাষ করে থাকি। এর ফলে জানার প্রয়োজন হয় যে কোন জাতের মুরগি সবচেয়ে বেশি ডিম পারে লাভজনক হওয়ার জন্য। এর মধ্যে একটি মুরগি রয়েছে যেটি পুরো দেশে অনেক জনপ্রিয় একটি মূল্যে সেটি হচ্ছে লেগহোন। এই লেগহোন মুরগিটি বছরে প্রায় ২৮০ থেকে ৩৪০ টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। এছাড়াও হাইলাইন ব্রাউন মুরগি 280 থেকে 300 টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। আপনারা যদি ডিমের জন্য মুরগি পালন করতে চান তাহলে এই দুটি মুরগি পালন করতে পারেন।

কতদিন পরে মুরগি ডিম দেয় এটি জানার জন্য আপনারা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। কেননা বর্তমানে এখন অনেকেই বাসায় কিংবা খামারে মুরগি পালন করে থাকে। কিন্তু অনেকেই একটি আশায় থাকে সেটি হচ্ছে মুরগিটি কতদিন পরে ডিম দিবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো যে কোন জাতের মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে। এজন্য মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত করতে থাকুন।

কোন জাতের মুরগি কত দিনে ডিম পাড়ে, কম বেশি সকল জাতের মুরগি প্রায় একই সময়ের মধ্যে ডিম পাড়ে। তবে এটি নির্ভর করে শুধুমাত্র আপনার মুরগির দেখাশোনা অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া এবং সঠিক পরিবেশে রাখার। বর্তমানে প্রায় সকল জাতির মুরগি 18 থেকে 20 সপ্তাহের মধ্যে ডিম দিয়ে থাকে। আর এটি শুধুমাত্র আপনার খাবার এবং মুরগির দেখাশোনার ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি মুরগিকে নিয়মিত সঠিক সময়ে নিয়ম অনুযায়ী খাবার দেন এবং তার থাকার জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন। তাহলে আপনার সব মুরগি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করবে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোন জাতের মুরগি কতদিনে ডিম দিয়ে থাকে।

মুরগির ডিম পাড়া বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে প্রায় আপনারা অনেকেই জানতে চান। কেননা এখন প্রায় প্রতিটি বাসা বাড়িতে মুরগি পালন করে থাকে। সেটিও দেশি কিংবা বিদেশী কিন্তু মুরগী বড় হওয়ার পরে মুরগির মালিক এর মাথায় চিন্তা আসে যে তার মুরগি কখন ডিম দিবে। আর মুরগিতে ডিম দেওয়া শুরু করলে তখন তার মাথায় আরেকটি প্রশ্ন আসে যে আমার মুরগি কি করলে বেশি বেশি ডিম দিবে। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক আপনি আপনার মুরগির ডিম পাড়ানো বাড়াবেন কিভাবে?

আপনি যদি আপনার মুরগির ডিম দেওয়া বাড়াতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে আপনার মুরগির যত্ন নিতে হবে। এখন যত্ন নিবেন কিভাবে? ভালোভাবে মুরগি যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে ভালো মানের খাবার অর্থাৎ ফিড সহ আরো উন্নত মানের খাবার খাওয়াতে হবে। এমনকি আপনি যে জায়গাতে মুরগি পালন করেন সেই জায়গা অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কেননা একটি মুরগি যদি সুস্থ সবল থাকে তাহলে আপনি আপনার মুরগির ডিম দেওয়া বাড়াতে পারবেন।

দেশি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় তা আপনারা অনেকেই কেউ জানে আবার অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমরা এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে জানাবো যে দেশি মুরগি কত দিনে ডিম পাড়া শুরু করে এবং বছরে কয়টি করে ডিম পাড়ে। এজন্য এ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি আজকে জানতে পারবেন যে কত দিনে দেশি মুরগি ডিম পাড়া শুরু করে এবং বছরে মোট কয়টি ডিম পাড়ে।

আপনারা জানেন অধিকাংশ বেশি মুরগী গ্রাম অঞ্চলে পালন করা হয়ে থাকে। আর এজন্য দেশি মুরগি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে। কেননা গ্রাম অঞ্চলে পালন করার জন্য বিশেষ কোনো খাবার লাগে না। কেননা দেশি মুরগি প্রায় বেশিরভাগ সময় বাইরে খাবার খেয়ে থাকে যেমন ধান গম এসব ধরনের খাবার খেয়ে তারা বেঁচে থাকে। আর এগুলো খাবার খাওয়ার ফলে মুরগি ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে। দেশি মুরগি বছরে প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ টি পর্যন্ত দিন দিয়ে থাকে।

দেশি মুরগি আর বিদেশি মুরগির মধ্যে পার্থক্য কি তা আপনারা প্রায় অনেকেই জানেন। যারা জানেন না যে দেশি মুরগি ও বিদেশী মুরগির মধ্যে কি ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি কেননা আজকে আমরা এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে জানাবো যে আপনারা কিভাবে দেশি মুরগি চিনবেন এবং বিদেশি মুরগি কিভাবে চিনবেন। এজন্য এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি দেশি মুরগি ও বিদেশী মুরগী খুব সহজেই চিনতে পারবেন।

দেশি মুরগি ও বিদেশি মুরগি চিনবেন কিভাবে? দেশি মুরগি ডিম কম দেয় এবং বিদেশি মুরগি ডিম বেশি দেই। দুইটি মুরগির পালনের পদ্ধতি কিন্তু একেবারেই আলাদা বেশি মুরগি খোলামেলা জায়গায় পালন করা হয়। অপরদিকে বিদেশি মুরগি ফার্মের মধ্যে কিংবা বাসায় পালন করা হয়ে থাকে। আপনারা জানেন আমাদের দেশে দেশি মুরগির চাহিদা কিন্তু অনেক বেশি। কেননা দেশি মুরগির মাংসের টেস্ট অর্থাৎ সাদ কিন্তু একেবারে আলাদা। আর বিদেশি মুরগির মাংস হালকা নরম ধরনের হয়ে থাকে আর দেশি মুরগির চেয়ে স্বাদ কম অনেক। আশা করি আপনারা দুইটি মুরগির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন।

মুরগিকে সুস্থ রাখার সঠিক উপায় কি তা আপনারা অনেকেই জানেন না। তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এই পোস্টটিতে জানাবো যে আপনি আপনার মুরগিকে কিভাবে সুস্থ সবল ও তাজা রাখবেন। বর্তমানে প্রায় বাসা বাড়িতে সকলে মুরগি পালন করে থাকে। কিন্তু কিছুদিন পরে মুরগি বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এর ফলে কিছু মুরগি মারা যায়। আবার কিছু মুরগি সুস্থ হয়ে ওঠে কিন্তু আপনি যদি মুরগির সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারে। তাহলে আপনি আপনার মুরগির রোগ থেকে মুক্ত রাখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে মুরগির যত্ন নিতে হবে। প্রাণী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মুরগির জন্য ভালো স্যালাইন ও ভালো ওষুধের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মুরগি সুস্থ সবল রাখতে পারবেন।

সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়া মুরগির নাম ও কতদিন পরে মুরগি ডিম দেয় তা সম্পর্কে আশা করি এই পোস্ট করে সকল কিছু বিস্তারিত হবে জানতে পেরেছেন। কেননা আজকে আমরা এই পোস্টটিতে আলোচনা করেছি আপনারা কিভাবে আপনার মুরগি যত্ন নিবেন, এবং সবচেয়ে বেশি কোন মুরগি ডিম দেয় দেশি ও বিদেশী মুরগির মধ্যে পার্থক্য কি? সকল কিছু বিস্তারিতভাবে আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে সঠিকভাবে জানিয়েছি।

কিন্তু আপনি যদি আপনার মুরগি ভালোভাবে যত্ন নিতে পারেন। তাহলে যেকোনো মুরগি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করবে। আর অবশ্যই আপনাকে আপনার মুরগির ভালোভাবে যত্ন নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখতে হবে। কেননা আপনি যদি আপনার মুরগির ভালোভাবে যখন তাহলে আপনার মুরগি রোদ মুক্ত থাকবে এর ফলে বেশি বেশি করে ডিম দেওয়া শুরু করবে। এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করে তাদেরকেও জানাই সুযোগ করে দিবেন। আর আমাদের থেকে কোন ধরনের প্রশ্ন যারা থাকলে নিচে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবেন।